গণঅধিকার বা নুর এদেশের রাজনীতিতে এখনও উল্লেখযোগ্য কিছু হয়ে ওঠে নি। কিন্তু সেই সম্ভাবনা যে একেবারেই ছিল না, তা নয়। ভবিষ্যতে যোগ্য কেউ নেতৃত্বে এলে তা হতে পারত। কিন্তু নির্বোধ নুর সব মাটি করে দিল।
সে ক্রমাগত মিথ্যে বলছে। মেন্দি সাফাদি মোসাদের এজেন্ট যদি না-ও হন, তিনি যে ইসরাইলের পররাষ্ট্রবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তা তো পরিষ্কার। তাঁর সঙ্গে গোপন বৈঠক অবশ্যই অপরাধ। নুর বলতে পারত— "অন্য কাজে বিদেশে গিয়ে হঠাৎ দেখা হয়ে গেছে। বসে গেছি চা খেতে।
অসতর্কতাবশত ভুল হয়ে গেছে। আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাই।" কিন্তু তা সে করে নি। করেছে অস্বীকার। তারপর ছবি ফাঁস হল, কল রেকর্ড ফাঁস হল। তবু সে বলল, এটা ষড়যন্ত্র। তারপর ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত খোলাখুলিভাবে স্থানকাল নির্দিষ্ট করে জানালেন—একবার নয়, তিন-তিন বার সে বৈঠক করেছে সাফাদির সঙ্গে। নুর তখনও বলল, এসব সাজানো। একটা দেশের মুখপাত্র টাকা খেয়ে মিথ্যে বলবেন, এ কি বিশ্বাস্য? নুর সেটা ভাবল না। এমনকি ফাঁস হওয়া ছবি ও কল রেকর্ডের সত্যতা যাচাই করে ভুয়া প্রমাণ করতেও গেল না। একই মিথ্যা বলতেই থাকল। মানুষকে কী আহাম্মক সে ভাবে, আন্দাজ করুন।
অবশেষে খোদ মেন্দি সাফাদি জানালেন, বৈঠক হয়েছে। প্রথম আলো আজ "কে এই মেন্দি সাফাদি" শিরোনামে খুবই তথ্যপূর্ণ একটি প্রতিবেদন ছেপেছে আজ। বলেছে—"তাঁর সঙ্গে নুরের সাক্ষাৎ হয়েছিল। গত ২৬ জুন মেন্দি এন সাফাদি মুঠোফোনে খুদে বার্তা দিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন।" তো ভিপি নুর ভাইজান, এখন কী বলবেন? রেজা মিথ্যে বলেছেন, রাষ্ট্রদূত মিথ্যে বলেছেন, সাফাদিও মিথ্যে বলছেন—কেবল এক আপনিই সত্যবাদী? আপনার কি ধারণা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এত বড় সত্যবাদী কারো থাকার জায়গা আছে কিংবা জায়গা থাকা উচিত?
_________________________________
⚪আবদুল হক ॥ #গণঅধিকার ॥ #রাজনীতি ॥ ০৪-০৭-'২৩।
0 Comments