কাগজ দিয়ে স্বর্ণ কেড়ে নেয়া হচ্ছে

বিশ্বে যেসব দেশ সর্বোচ্চ স্বর্ণ মজুদ করেছে সেসবের মধ্যে ফ্রান্স চতুর্থ।

তাদের ট্রেজারিতে আছে ২৪৩৬ টন স্বর্ণ। আমাদের মতো ওরা বোকা নয়। সম্পদ দিয়ে কাগজ (ডলার) কিনে রিজার্ভ বাড়ায় না। প্রকৃত সম্পদ দিয়েই সিন্ধুক পূর্ণ করে। ফিয়াট মানি তো সম্পদ নয়; শুধুই সর্বোচ্চ অথরিটির স্বাক্ষরিত একটা টোকেন। যাকগে। আদার ব্যাপারীর জাহাজ নিয়ে টানাটানি করা উচিত নয়।

ফ্রান্স স্বর্ণ মজুদে বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করলেও তাদের নিজস্ব কোনো খনি নেই। তাদের দেশে একটি গোল্ড মাইনও নেই। তাহলে কোত্থেকে সংগ্রহ করে এসব? আফ্রিকা আছে না!

সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ নেয় মালি থেকে। ১৯৬০ সালের আগে মালি ফ্রান্সের কলোনি ছিল। যা করার সেসময়ই করে ফেলেছে। পুকুর চুরি করে ফ্রান্স থেকে টনের পর টন স্বর্ণ চালান করেছে ফ্রান্সে। যেমন ভারত উপমহাদেশ লুটেপুটে খেয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

মালিতে ৮৬০টি গোল্ড মাইন আছে। তা থেকে প্রতিবছর প্রায় ৫০টন স্বর্ণ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু ফ্রান্সের টেকনিক্যাল অধিকার থাকায় মালি চাইলেও গোল্ড রিজার্ভ করতে পারে না। গোল্ড মাইনের মূল চালিকাশক্তিই হচ্ছে ফ্রান্স। যেকারণে মালির স্বর্ণ মালির কোষাগারে জমে না। মালির কোষাগারে জমা হয় ফ্রান্সের দেওয়া কাগুজে নোট আর ফ্রান্সের কোষাগারে জমানো হয় মালির মাটির নিচ থেকে আহরণ করা স্বর্ণের দলা।

কাগজ দিয়ে সম্পদ কেড়ে নেওয়ার এই এক আজব ব্যবস্থায় পচেগলে যাচ্ছে অনুন্নত দেশগুলো। আহ!