নুরুল হক নুর শুধু মি*থ্যাবাদীই না বরং নৈতিকভাবে ভ*য়ংকর রকমের প্রশ্নবিদ্ধ, প্র*তারক এবং খুবই লোভী একজন মানুষ। এক কথায় বললে লীগের মি*থ্যাবা*দী রজনৈতিকদের চেয়েও সে কয়েকশ গুন ভ*য়ংক*র খা*রাপ।
গতরাতে তাদের দলের একজন আমাকে কথায় কথায় বলেছেন - নুর এখন সরকারের কাছে গ্রেফতার চায়!! আওয়ামী লীগ তাকে যেন গ্রেফতার করে এটা সে চাচ্ছে এখন। গ্রেফতার হলেই তার ইমেজ কিছুটা ফিরবে মনে করতেছে। এমনকি গ্রেফতার হওয়ার জন্য কাল থেকে কাজও শুরু করেছে সে। এখন লীগ যদি তার প্রয়োজন আছে মনে করে তাহলে ঠিকই গ্রেফতার করবে। আর যদি মনে করে ইউজ করা শেষ তাহলে আর গ্রেফতার করবে না। এমনকি গ্রেফতার হওয়া এজন্য নাকি টাকাও খরচ করবে নুরা। আদতে নুরের কাছে অঢেল টাকা পয়সা আছে এটা সত্যই।
রাশেদ তার সাথে আছে টাকার ভাগে। রাশেদকে টাকার ভাগ দেওয়া হচ্ছে কিছু যেটার উপর ভিত্তি করেই রাশেদ এখন তার সাথে আছে। কিন্তু রাশেদকে সে বিশ্বাস করে না বলেই ভারপ্রাপ্ত আহবায়কও রাখতে রাজি নয় যে কারণে তড়িঘড়ি করে কাউন্সিল দিয়ে রাশেদকে সরাবে এবং সে সভাপতি হবে তারপর এই দল বেঁচে খাবে। এ দলের মাধ্যমে যে অনেক টাকা সে খেতে পারবে সেটা তো পরিস্কার হয়ে গেছেই তার কাছে।
অথচ এই লোভটা না থাকলে রাজনীতিতে কত বড় কিছু করা সম্ভব ছিলো তার জন্য।
গণঅধিকারে নুর সামনে থাকলেও এ দলের পিলার বলতে ফারুক, তারেক এরাই ছিলো। ছিলো হাসান আল মাহমুদরাও। নুরের প্রতি বন্ধুত্বের বিশ্বাস থেকে তারা নুরকে সামনে রাখতে চেষ্টা করছে। তাকে নেতা বানিয়েছে। কিন্তু এই লোভী ছেলেটাই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে এবং অল্প সময়ই লীগের চরিত্র প্রকাশ করেছে। লীগ যেমন ভাসানীকে ভুলে গেছে নুরও তেমন ফারুক-তারেকদের সরাতে ভূমিকা রাখতেছে।
শুধু দল দখলের জন্য এ হেন মি*থ্যা*চার নাই যা সে করতেছে না। এমন একজন মি*থ্যুক, প্র*তা*রককে এ দেশের রাজনীতিতে স্টাবলিশ হতে দিলে আগামীর রজনীতি আরও খারাপ হবে এ দেশে।
নুরুল হক নুর গতকালও মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক বিষয়টা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে তার সাথে দেখা হয়ত হয়ে গেছে তারপর কিভাবে যেন ছবি একটা তোলা হয়েছে! অথচ আজকে মেন্দি সাফাদি নুরের সঙ্গে তিন ঘন্টা বৈঠক হয়েছে মর্মে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। নুর ইসরাইলের কাছে সহযোগীতা চেয়েছে নির্বাচনে জিততে এবং প্যালেস্টাইনের বিষয়ে মেন্দি সাফাদির সাথে নেতিবাচক আলোচনাও করেছে। অথচ এই নুর ফিলিস্তিনের রাস্ট্রদূতের বিষয়ে কয়েকদিন আগে বলেছে যে সে সরকারের এজেন্সির ডলার খেয়ে নুরের সাথে মেন্দির বৈঠক বিষয়ে বলেছে। এই ছেলে নিজে সব জায়গা থেকে ডলার খেতে খেতে সবাইকে এমনই মনে করতেছে এখন।
ডলারের গল্পে বলি! এই নুররা আর একটা জায়গা থেকেও বড় অংকের ডলার খেয়েছে সেটা হলো আমেরিকা সংশ্লিষ্ট কিছু একটা। যেটার ডকুমেন্টও তারা রেখে দিছে এবং যথা সময়ে তা তারা প্রকাশও করবে। আলরেডি একটা ডকুমেন্ট তারা পাবলিস্ট করেছেও!! যেখানে কোটির ঘরের হিসাব সব!!
নুরুল হকের এই মার্কিন-ইসরাইল প্রীতি মনে রাখবে এ দেশের মানুষ। এই ছেলে স্পষ্টতই দেশ এবং ইসলামের সরাসরি স্বার্থবিরোধী লোভী মানুষ।
ইভেন এরা গত দুই বছর যা যা করেছে সব ডকুমেন্টেড। কোথা থেকে কত টাকা খাইসে, কার সাথে কখন কি কথা বলেছে সবই মনিটর করা হয়েছে। সবই কেউ না কেউ ঠিকই রেখেছে। আমার একবার নুরের সাথে দেখা হয়েছিলো হোটেল ওয়েস্টনে। কিছুক্ষণ কথাও বলেছিলাম তখন। এর একদিনের মধ্যেই আমাকে ছোটোখাটো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো কোথাও এক জায়গা থেকে। এরা এতটাই নিয়ন্ত্রিত ছিলো সব সময়। এজন্যই এদের অপ*কর্ম সবই বের হবে ধিরে ধিরে।
বাকি যখন যা বলা হবে! যত প্রমান দেখানো হবে সব নাকি ষড়যন্ত্র সব নাকি নুরুর নামে অপপ্রচার!! সে উঠতে উঠতে আকাশে উঠে গেছে এখন সবাই হিংসায় জ্বলে এবং তাকে নামাতে এসব করে। এমনই থাকে তার জবাব। আর বিভিন্ন এজেন্সির টাকা খেতে খেতে এখন চোখে কানে খালি এজেন্সি দেখে। কিছু বললেই উত্তর দেবে এজেন্সি এজেন্সি টাকা আর এজেন্সি!!
0 Comments