ছেলের বিয়ে হয়ে গেলে ছেলে আর নিজের থাকেনা, বউয়ের হয়ে যায়, কিন্তু মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও মেয়ে কোনোদিন পর হয়না। এই কথাটা অনেকেই বলেন,কিন্তু একটু ভেবে বলুনতো কথাটা কি ঠিক?
আসলে কী জানেন, আপনি যদি মেয়েকে কিছু দেন তাহলে আপনি মেয়ের কাছ থেকে রিটার্ন কিছু চাননা বা আশা করেননা, মেয়ে সুখে থাকলেই আপনি সুখি, আপনি কখনও এটা তুলনা করেননা যে, আপনার মেয়ে আপনার চেয়ে কত ভালো বা সুখে আছে, আপনার মেয়ে যদি আপনার চেয়ে ১০ গুন সুখে থাকে, ভালো থাকে আপনি সেটা দেখে ১০ গুন খুশি হন, আপনার মেয়ের জীবনে সমস্যা আসলে সেটাকে নিজের সমস্যা মনে করেন, মেয়ে সুখি না হলে আপনিও দুঃখি হন,
সামর্থের বাইরে গিয়েও মেয়েকে, জামাইকে সাহায্য করেন, বিপদে পাশে দাঁড়ান।
অন্যদিকে ছেলের পিছনে যত খরচা করেন আর ভাবেন যে একটা সময় ছেলে এর বিনিময়ে কিছু দেবে, অনেক সময় দাবীও করেন, মনেও করিয়ে দেন যে তোর পিছে এতো খরচা করেছি।
ছেলের বিয়ে দিয়ে ছেলেকে পর ভাবতে শুরু করেন। ছেলে বিয়ে করলে বাবা মায়েদের ছেলের প্রতি একটা এমন মানসিকতা হয় যে, মনে মনে ভেবে নেয় যে, বিয়ে করেছিস তোর সমস্যা তোর, তোকেই এর সমাধান করতে হবে, বিয়ে করেছিস তোকে কোন সাহায্য করতে পারবোনা, পারলেও সাহায্য করেনা, অন্যদিকে মেয়েকে সাহায্য করার জন্য রেডি থাকে, সামর্থের বাইরে গিয়েও করে। ছেলে বউ কতটা সুখে আছে এটা নিজেদের সঙ্গে তুলনা করে, ছেলের বিবাহিত জীবনে সুখ কতজন সহ্য করতে পারে। ছেলের বিপদে ছেলেকে একা করেন কিন্তু ছেলের বেশি সুখ হলে আবার তার ভাগ চান।
আসলে মেয়ের কাছ থেকে কিছু আশা করেননা, কোন দায়িত্ব আরোপ করেননা, তাই মেয়ে যদি ৫% ও কিছু দেয় আপনি ভাবেন মেয়ে আমাদের কথা অনেক ভাবে আর এদিকে ছেলের উপর ১০০% দায়িত্ব, অনেক কিছু আশা করেন, এখন ছেলে সেটা দিতে না পারলে অথবা ৭০-৮০ % দায়িত্ব পালন করতে পারলেও যেটুকু পারছেননা সেটুকু ভেবেই ভাবেন যে ছেলে অনেক খা'রা'প।
মেয়ের পড়াশোনার পর বিয়েতে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হলেও কি মেয়েকে পরে বলে তোর জন্য এতো খরচা করেছি, ছেলেকে পড়াশোনার পর ব্যবসা করতে ২ লক্ষ টাকা দিলেও মনে করিয়ে দেয় যে ব্যবসা করতে এতো দিয়েছিলাম, চাকরি পেলেও বলে এতো খরচা করে পড়াশোনা করিয়েছি। তো মেয়ের বিয়েতে যত খরচ করে, শখ আহ্লাদ করে, ছেলের বিয়েতে কি অতটা খরচ শখ আহ্লাদ করে?!
আচ্ছা বলেন তো মেয়ে-জামাইকে যতটা সম্মান, গুরুত্ব ভালোবাসা দেয় ছেলে-বউকেও কি এতটা সম্মান, গুরুত্ব ভালোবাসা দেয়?
©
0 Comments