Ticker

6/recent/Main-posts

Header Ads

IAB সমালোচনা ছাপিয়ে নিজ গতিতে চলতে পারা এক নাম

নানী ভোটটা হাতপাখায় দিবা! চরমোনাই পীরের হাতপাখা। এরা ইসলামিক। ছোটবেলায় এমন একটা কথা বলেছিলাম আমার নানিকে। যতদূর মনে পড়ে তখন মাদ্রাসায় কেবল ভর্তি হয়েছি। নৌকা ধানের শিষ আর লাঙল বাদে হাতপাখাটা চিনি। নানা বরাবর ভোট দিত লাঙলে। আর মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর নানিকে বলেছিলাম ইসলামি দল হাতপাখায় ভোট দিতে। তখন দলটার পুরা নাম জানতাম না। মাদ্রাসায় নুর ইসলাম ভাইয়েরা ছিল ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক বা কর্মী। সে সময় সবাই ভক্ত ছিল আইনুদ্দীন আল আজাদের। নৌকা আর ধানের শিষ দুই সাপের একই বিষ শুনেছিলাম নুর ইসলাম ভাইয়ের মুখ থেকে। উনার মুখেই আইনুদ্দিন রহ. এর সব গজল শোনা।


ইসলামি দল হিসেবে জামাতকেও চিনেছি আগে পড়ে। তবে জামাত মানেই তারা রাজাকার। এমন একটা কথা কানে ভাসত। জামাতের পছন্দের পাত্র ছিল সাইদি রহ.। সবজায়গায় বাজত তার ওয়াজ। ১৩/১৪ সালে সিরাজগঞ্জে পড়তে গিয়ে জামাত শিবির দুটোকেই চিনলাম ভালোভাবে। একটা লম্বা সময় পর চিনলাম জমিয়তকে। বিশেষত কাটাখালি পড়ার সময় আল্লামা জামালুদ্দিন মাহমুদ সন্দীপি দা.বা. এর মুখে মুখে জমিয়তের আদ্যোপান্ত জেনেছিলাম। তারপর চিনেছি বাকীসব ইসলামি দল মত ও পথ কে।

জীবনের একটা লম্বা সময় চরমোনাইয়ের দল মানে চোখে ভাসত, সবুজ পাগড়ি বুক পকেটে মিসওয়াক স্প্রিং জুব্বা সাদাসিধা গো বেচারা টাইপের মানুষের এক জামাত। দলটি এখনো তাই। আজ বিকেলে সমাবেশ থেকে ফেরা কাফেলাগুলো দেখে এমনটাই মনে হয়েছে। হাতে একটা পাখা আর ঘাড়ে ব্যাগ, কারো কারো গলাকাটা জুব্বা।

বুঝ বুদ্ধি হওয়ার পর দীর্ঘ সময় এই দলটিকে অচ্ছুত অবস্থায় দেখেছি। ঢাকায় আসার পর অনুভব করলাম এ দলটি আর অচ্ছুত নাই। সকল সেক্টরে বিচরণ করছে। একটু একটু করে। একজন দুজন করে। প্রতি বছর একটা দুইটা নতুন ফেস তৈরী করছে। ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্ররা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। যতদূর বুঝি ছাত্র আন্দোলনের প্রথম দিকের জনপ্রিয় ফেইস ছিল ফজলুল করিম মারুফ ভাই। তারপর আসল নুরুল করিম আকরাম। এরপর রিয়াদ ভাই। এ নেতৃত্বগুলোর প্রতি ছাত্ররা দারুণ ভাবে আকর্ষিত হত। তাদের মধ্যে আকর্ষণ করার ক্ষমতাও ছিল। বিশেষত মারুফ ভাইকে আমার চমৎকার লাগে।

ইসলামি আন্দোলনের সাথে এ দেশের মূল ধারার দেওবন্দি আলেমদের একটা অঘোষিত বা ঘোষিত ক্ল্যাশ খুব পুরোনো। যতসম্ভব মরহুম পীর সাহেব থেকে শুরু। যদিও মরহুম পীর সাহেবের বিষয়ে আমাদের সকল ওস্তাদকেই দেখেছি শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিবেদন করতে। তবে পরবর্তী নেতৃত্বের প্রতি অধিকাংশ বড় আলেমদের দ্বিমত ছিল। আজ যেমন অনেক আলেমকে তাদের সম্মেলনে দেখা যায়, ৫-৬ বছর আগেও এমন ছিল না।

১৩ সালের হেফাজত থেকে শুরু করে মোদি বিরোধী আন্দোলন। এই পুরো সময় ইসলামি আন্দোলন চলেছে একটু সাইড রাস্তা দিয়ে। কখনই মূলধারার আলেমদের সাথে অফিশিয়ালি একমত হয়নি। আবার অফিশিয়ালি দ্বিমতও করেনি। ফলে অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর সমালোচনার মুখে থাকত সবসময়। এর কারণ কী এটা তারা হয়ত তাদের মতো বলতে পারবে। তবে আমার অবজারভেশন অনুযায়ী কিছু ব্যাখ্যা আছে।

আমার কাছে মনে হয় ইসলামি আন্দোলন নিজস্ব একটা রাজনীতি তৈরী করতে চেয়েছে সবসময়। একেবারে নিজস্ব। যেটার কমান্ড থাকবে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের হাতে । এই নিজস্ব রাজনীতি তৈরী করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় তারা হেঁটেছে বন্ধু ছাড়া। সহযোগী ছাড়া। হেফাজতের সময় যে অপ্রীতিকর ঘটনা আমরা শুনি সেটাও এই নিজস্ব রাজনীতি তৈরী করতে গিয়েই। সেসময়ের অনেকের সমর্থকদের দাবী ছিল ইসলামি দল হিসেবে ইসলামি আন্দোলনকে নেতৃত্বে রেখে আন্দোলন করা যেত। কিন্তু এটা কখনোই অন্য আলেমরা মানেনি। মানতে পারেনি। মানা সম্ভবও নয়।

বলতে পারেন, স্বজাতিদের সাথে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে নিজস্ব রাজনীতি তৈরী করে? আমি বলব এটাই তো স্ট্র্যাটেজি ছিল। দেখেন পীর সাহেবদ্বয় সবসময় বিএনপির সাথে জোট করা আলেমদের তিরষ্কার করেছেন। এর বিপরীতে তারা কিন্তু কখনো কোন দলের সাথে জোটে যায়নি। সুযোগ ছিল না তা না। টুকটাক সুযোগ ঠিকই ছিল। কিন্তু তারা এটা পাশ কাটিয়েছে। একটা লম্বা সময় বিএনপির সাথে জোটভুক্ত দলগুলোকে পঁচানোর চেষ্টা করেছে। সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছে নৌকা আর ধানের শীষ দুই সাপের একই বিষ। এই বোঝানোটা দেশে একটা বয়ান তৈরী করেছে। যে বয়ান আমরা ৫ আগষ্ট পর সাধারণ জনতার মুখে শুনেছি। আওয়ামী লীগকে হঠিয়েছি বিএনপিকে বসানোর জন্য না। মানে বিএনপি আওয়ামী লীগ এক। আমার দৃষ্টিতে এই বয়ানের বিজ বপন করেছে ইসলামি আন্দোলন।

বিগত সরকারের সময় যারা সরকারের দৃষ্টিতে ভালো ছিল, ইসলামি আন্দোলন তাদের একটা। এটাকে কেন্দ্র করে তাদেরকে হাসিনার দালালও বলা হয়। কেউ কেউ নায়েবে আমির সাহেবের বক্তব্য কোট করে প্রমাণ করে তিনি মুজিব ভক্ত। সবাই যখন গ্রেফতার তখন তারা বুক ফুলিয়ে প্রোগ্রাম করেছে। আর গলা চাপিয়ে বলছে, আদা খাবে যে ঝাল বুঝবে সে! তারা আদা খায়নি তাই ঝাল বুঝেনি। আইমিন গ্রেফতার হয়নি। অথচ যে বক্তব্যের জেরে মামুনুল হক সাহেব গ্রেফতরা সে বক্তব্য দিয়েও পীর সাহেব দিব্যি ঘুরছে। হাসিনার এই স্ট্র্যাটেজি ইসলামপন্থীদের মাঝে ইসলামি আন্দোলনকে আরো বিষিয়ে তুলেছিল।

আমার বই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কওমী মাদ্রাসা ও আলেম সমাজ এ আমি লিখেছিলাম, বিগত সরকার দুই কারণে ইসলামি আন্দোলনকে সুযোগ দিয়েছে কখনো পাকড়াও করেনি। এক. তারা কখনো ইসলামি আন্দোলনকে নিজেদের জন্য হুমকিই মনে করেনি। আসলেও ইসলামি আন্দোলান হাসিনার জন্য হুমকি ছিল না। দুই. ইসলামি আন্দোলনকে মূল ধারার ইসলামি দলগুলোর কাছে খারাপ করে রাখা ও বহির্বিশ্বে টোপ হিসেবে রাখা। হাসিনা একটি গোবেচারা দলকে সুযোগ দিয়ে বুঝাতে চেয়েছে দেখ এরা সহীহ ইসলামি দল তাই এদের কিছু বলি না। আর বাকীরা ধর্মব্যবসায়ী তাই তাদের চালান করি। এটা হাসিনার বিগ প্ল্যান ছিল।

তবে এই সুযোগটা ইসলামি আন্দোলন কাজে লাগিয়েছে পুরোদমে। হাসিনা গোবেচারা মনে করলেও তারা গোবেচারা হয়ে বসে থাকেনি। এই সরকারের সময় তারা সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করেছে।প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউনিয়নে কমিটি করেছে। প্রতিটি সিটিকর্পোরেশনে কাউকে না কাউকে প্রার্থী হিসেবে স্ট্যাবলিশ করার চেষ্টা করেছে। এমন কোন শাখা নাই যেখানে তারা কাজ করেনি। ফলে সিটি ও পৌরসভার নির্বাচনগুলোতে তারা মোটামুটি ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তারা লড়েছে নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থীদের সাথে। কিন্তু এই সুযোগটা অন্য দল পায়নি। আর পেলেও কাজে লাগাতে পারত না। কারণ আওয়ামী আমলের পূর্বে তারা যে সুযোগ পেয়েছিল আসলে সেটাকে তারা সাংগঠনিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু ইসলামি আন্দোলন এটা পেরেছে।

মোদি বিরোধী আন্দোলনে যখন সবাই একে একে গ্রেফতার হতে শুরু করে, তখন ইসলামি আন্দোলনে শীর্ষ এক নেতা শুরু করে সিরিজ লেখা। যা কোটি কোটি মুসলিমদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছিল। মূলত তাদের হাতে এটা ছাড়া অপশন ছিল না। নিজেদের রাজনীতি বাঁচাতে তারা এ অসুন্দর পথের আশ্রয় নিয়েছিল। উদ্দেশ্য একটাই নিজেদের আলাদা করা, নিজস্ব রাজনীতি দাঁড় করানো। এটারে আপনি আমি কী মনে করছি সেটা ভাবার দরকার তারা সেদিনও মনে করেনি আজও করেনা।

মোটামোটি ১৫/১৬ বছরে নিজেদের একটা অবস্থায় নিতে সক্ষম হয় তারা। আওয়ামী লীগের সাথে দরকষাকষির মতো অবস্থান তৈরী হয়। কথাতে না মিললে চোখেচোখ রাখতে পারবে এখন। সিটি নির্বাচন সামনে আসে। দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি বরিশাল সিটির প্রার্থী হয়৷ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কনফার্ম মেয়র। জনপ্রিয়তা এমনটাই বার্তা দিচ্ছিল। কিন্তু তা হয়নি। রক্তাক্ত হতে হয়েছে নায়েবে আমিরকে। আওয়ামী হিংস্রতা রক্ষা করতে পারেনি পীর সাহেবের দল কে। যে মুহূর্তে তাদেরকে হুমকি মনে করেছে সে মুহূর্তেই আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে। ব্যাপারটা বুঝলেন তো নাকি! এবার শুরু হল পীর সাহেবের আওয়ামী বিরোধিতার নতুন যূগ। উচ্চস্বরে বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে না নামানো পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না। সে কথা তিনি রেখেছেন।

ঐতিহাসিক জুলাইয়ে দল হিসেবে সবার আগে থেকেছে এই দলটি। চিল্লিয়ে বলেছে 'এই নরপিশাচ! আমার ছেলেকে মারলি কেন'। বাংলাদেশ দেখেছে এক নতুন প্রতিবাদী মুখ। এতদিন প্রতিবাদ করত, মামুনুল হক, সাখাওয়াত হোসেন রাজী, জুনায়েদ আল হাবিব, মুনির কাসেমীরা। দীর্ঘ কারাজীবন তাদেরকে থামিয়ে দিয়েছে বা শীতল করেছে। এসময় কথা বলে উঠেছে আওয়ামী লীগের হুমকি না মনে করা গোবেচারা দলটি। থেকেছে মিছিলে, করেছে পিকেটিংও! বলা যায় একেবারে পার্ফেক্ট টাইমে পারফেক্ট ইউটার্ন। আওয়ামী লীগ হয়ত এটা কল্পনাও করেনি।

এরপর!
নতুন বাংলাদেশ! যে দেশে পীর সাহেব চরমোনাই ও তার দল ইসলামি আন্দোলন শুধু একটি নাম না বরং দারুণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। দলটি আর গো বেচারা নাই। বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যুত্থানের অন্যতম স্টেক হোল্ডার। কথা বলে চোখে চোখ রেখে। দাবী আদায়ে একবিন্দু ছাড় নয়!

৫ আগষ্টের পর ভেবেছিলাম ইসলাম পন্থীদের নতুন রাজনৈতিক বয়ানের নায়ক হবেন আল্লামা মামুনুল হক। নিজস্ব রাজনীতি তৈরী করবেন। পাড়া গাঁয়ে ছুটে গিয়ে মানুষকে নতুন বন্দোবস্তের কথা শুনাবেন। তবে তিনি সেটা করতে পারেননি। এ কাজটা করেছেন মানিকজোড় দুই ভাই। মুফতি রেজাউল করিম ও ফয়জুল করিম হাফি.। তারা ছুটেছেন অবিরাম। নেই বিশ্রামের সুযোগ। এই ছোটা তাদের এ কমাসের না। বরং দীর্ঘ সময়জুড়েই।

ইসলামি আন্দোলন জামাতের সাথে জোটের আলাপে যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা সমালোচনা। আসলে নায়েবে আমির সাহেব নিজেও জামাতের সমালোচনা করেছেন পুরো জীবন। তারপরও এখন জামাতের সাথে জোটের আলাপ তোলাটা মূলত নিজেদের রাজনৈতিক বোঝাপড়াটাকে ঝালিয়ে নেওয়াই। জোট হয়ত হবে কিংবা হবে না। কিন্তু তারা জানে জামাতের সাথে জোটে গেলে যে অনিষ্টতার আশঙ্কা অন্যরা করে সে অনিষ্টতা তাদেরকে ছুঁতে পারবে না। কেন পারবে না সেটা পরের আলাপ। ফলে ঐক্যের আলোচনা ইসলামি আন্দোলনের কর্মী সমর্থক সবাই মিলে চালিয়ে যাচ্ছে পুরোদমে। ঐক্য হলে আলহামদুলিল্লাহ। না হলেও দায় চাপানোর জায়গা আছে। জনতুষ্টিমূলক আলোচনা নির্বাচনের আগে রাখাটাও একটা রাজনীতি। এ রাজনীতি ইসলামি আন্দোলন দারুণ করছে।

যাহোক! অনেক লম্বা কথা বললাম। মূল কথা হল ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের রাজনীতি স্ট্যাবলিশ করতে পারছে করা শুরু করেছে। আলোচনা সমালোচনা তাদের থামাতে পারেনি। তারা থামেনি। আলোচনা সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে তারা নিজ গতিতে চলেছে। এটাতে কে কী ভাবল তা দেখার সময় নাই। এভাবে যদি আর ২০ টা বছর পার করতে পারে আর পীর সাহেবদ্বয়কে যদি আল্লাহ বাহায়াত রাখেন তবে সিরিয়াসলি বাংলাদেশের প্রথম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হবে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। এবার যদি তারা জামাতের সাথে জোট না করে সেটা আমার দৃষ্টিতে ভালো সিদ্ধান্ত হবে। তবে যদি জোট করে তবে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা থেকে খালি হবে না। সেটা নিয়ে আলাদা লেখা লিখতে হবে।

ইসলামি আন্দোলনের কয়েকজন নেতৃবৃন্দকে আমার খুব পছন্দ হয়। তাছাড়া ছাত্র আন্দোলন করা বন্ধু পেয়েছি কয়েকজন মারাত্মক মেধাবী ও ক্রিয়েটিভ। তবে তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে তাদের আলো কাজ করা উচিত।  বিশেষত মারুফ ভাই, হাসিব ভাই, আবরার ভাই,  জাফর ভাইদের মতো ব্যক্তিদের দিয়ে তৃণমূলের প্রতিটি নেতা কর্মীদের ট্রেইনাপ করানো দরকার। তা না হলে দিন যত যাবে দল যত বড় হবে এই কর্মীরা তাদের মাথাব্যথা ও গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে।

অনেকে কল্পনাও করতে পারে না, ৫ আগষ্টের পর এই কর্মীরা সাধারণ আলেমদের কী পরিমাণ অপদস্ত করার চেষ্টা করেছে। আমাদের রাজশাহীর মহান নেতৃবৃন্দ তো রাজশাহীর সমগ্র ওলামায়ে কেরামকে ওলামায়ে সু, লোভী তকমাও দিয়েছে। ছাই দিয়ে ধরে ওগুলোরে সাইজ করেছি যদিও। তবে এটা মোটেও কাম্য ছিল না। ৫ আগষ্টের পর রাজশাহীতে রাতে পাহারা দেওয়ার সময় আমি নিজে আলেমদের এক কাফেলার সাথে আলোচনায় বলেছিলাম, ইসলামি আন্দোলনের সাথে আপনারা সম্পৃক্ত হতে পারেন। অন্তত তাদের সাহস যোগানো আপনাদের কর্তব্য। এর দুদিন পরেই মহান নেতৃবৃন্দ রাজশাহীর আলেমদের গুরুপে বমি উঘলে দেয়। হাহ! 

যাহোক ২!
ম্যালা কথা বললাম। এত লম্বা লেখা শেষ পর্যন্ত কেউ পড়বে কি না জানিনা। লেখাটা লিখছি কয়েকদিন ধরেই৷ আজকের মহাসমাবেশের পর মনে হল পোস্ট করি। শেষকথা স্বরুপ বলি, ইসলামি আন্দোলন তাদের দোষত্রুটি সব নিয়েই নিজেদের রাজনৈতিক জায়গা পোক্ত করেছে করার চেষ্টা করেছে। আপনি যেমনটি চাইবেন একটি দল তেমনটি কখনোই করবে না। সো আপনার না চাওয়া হলেও গালিগালাজ শুরু কইরেন না। আর ইসলামি আন্দোলনের নেতা কর্মীদের অনুরোধ করব, নিজেদের হামচুমান ডাঙ্গারে নিস্ত ভাইবেন না। সকলকে নিজস্ব রাজনীতি করার সুযোগ দিন। অন্তত আপনাদের কথার তীর যেন স্বজাতি কোন ভাইয়ের মনে আঘাত না করে। একটার্ম এভাবে চুপ করে আগান দেখবেন আরো কতশত মানুষ আপনাদের ছায়াতলে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। 

জাওয়াদ আহমাদ 
লেখক, এক্টিভিস্ট, সংবাদকর্মী 
১২ টা ৭ মিনিটি, ২৯ জুন
শ্যামলী ঢাকা।

Post a Comment

0 Comments