গাজীপুরে, হাতপাখা জিতলো যেভাবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ কিংবা বট গাছ হওয়ার স্বপ্ন দেখে না।
এ বছর এক ডজন চেয়ারম্যান পেয়েছে।
যা আগের তুলনায় তিন গুণ। প্রত্যেক সিটিতে পূর্বের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ ভোট বেশি পেয়েছে।
গাজীপুর সিটিতে গতবার পেয়েছে ২৬ হাজার ভোট। আজকে(2023) এ পেয়েছে ৪৫ ৩৫২ ভোট। যা আগের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আজকের ভোটের ফলাফলের প্রতি লক্ষ করলে রাজনৈতিক সচেতন যে মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যৌক্তিকতা বুঝতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বিশেষ করে যারা মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছে তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে।
নৌকার ২,২২৭৬৭ ভোট পেয়েছে। ভোটের সংখ্যার দিকে তাকালে বুঝা যায় তারা নিজেদের সাধ্য মত তাদের ভোট তাদের বাক্সে ঢুকিয়েছে। তাহলে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন ২,৩৮৯৩৪ ভোট যে পেলো এগুলো কার ভোট।
এখান বিশাল একটা অংশ হলো বি এনপি- জামাতের ভোট।
বি এনপি -জামাত নৌকাকে ঠেকাতে হাতপাখায় সীল মারেনি। তারা সীল মেরেছে দেয়াল ঘড়িতে। তারা ভোট বর্জন করেছে এটা মনে ঠিক নয়। কারণ ইভিএমে ধীর গতিতে ভোট কালেকশন হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৫০ঃ ভোট কালেকশন হয়েছে।
আবার নৌকা আর ঘড়ি মিলে যে ৪,৬১৬৭১ ভোট পেলো কালেকশন কৃত ৫০ঃ ভোটের মধ্যে এতগুলো গাজীপুরে আওয়ামী লীগ করে বলে মনে হয় না।
অর্থাৎ জাহাঙ্গীরের মাকে আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিয়ে ভাসিয়ে দেয়নি।
আর বিরুদ্ধ শক্তির সীমাহীন অপপ্রচার, গালমন্দ, কুৎসা রটানো সত্ত্বেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৪৫, ৩৫২ কর্মী পাহাড়সম ধর্য্য নিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে ছিলেন -এতে ইসলামী বিপ্লব প্রত্যাশীদের মনে দ্বিগুণ শক্তি যোগাবে ইনশাআল্লাহ।
সোর্স Link
0 Comments