আওয়ামিলীগের উপর জমে থাকা ক্ষোভ এরা আওয়ামিলীগের সাথে না পেরে ইসলামি আন্দোলনের উপর ঝাড়ে। সিটি নির্বাচন বর্জন করে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে আরেক কট্টর আওয়ামিলীগকেই নির্বাচিত করলো। নিজেই যে আওয়ামীলীগের দালালীতে মত্ত তার খবর নাই।
অপরদিকে যে জন্য নির্বাচন বর্জন করলো সেই সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আবার ইসলামি আন্দোলন পরাজিত হয়েছে বলে ট্রলে মত্ত হলো। সে ইসলামকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের বি-টিম (মেয়র জাহাঙ্গীর এর মা) কে জিতিয়ে মহা খুশি।
মূল কথায় আসুন।
আওয়ামিলীগ প্রার্থী নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিলে গাজীপুর সিটিতে ভোট পেয়েছে সাড়ে চারলক্ষ।
এখন এইভোট গুলো কাদের? আপনি যদি বলেন এগুলো আওয়ামী লীগের ভোট যেহেতু বিএনপি সহ অন্যান্য দল ভোট বর্জন করেছে।তাহলে প্রমানিত হয় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।এক সিটিতেই তাদের এতো ভোট বাহ!
আবার যদি বলেন নৌকা ঠেকাতে বিএনপি জামায়াত সহ অন্যরা জায়েদাকে ভোট দিয়েছে তাহলে আপনারা বর্জন নামের ফাতরামি কেন করলেন? এখন আপনি উত্তর দেন আওয়ামী জনপ্রিয়তার বৈধতা দিবেন? নাকি ফাতরামি ও ভুল হইছে ক্ষমা কইরা দেন বলবেন!
এবার আসুন হাতপাখায়
যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিল, বিএনপির সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার পরিবারের ছেলে প্রার্থী হয়েছে।সেখানে হাতপাখা তাদের থেকে দিগুণ ভোট বেশি পেয়েছে।গত সিটি থেকেও এবার তাদের ভোট দিগুণ বেড়েছে। এখন বলুন তারা কি সফল নাকি ব্যার্থ? গাজীপুর এর মত বানিজ্যিক এলালায় ৪৫ হাজারের বেশি ভোট অবশ্যই প্রশংসনীয়।আলেম ও ইসলামপন্থী জনপ্রতিনিধির উপর মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এটি তার প্রমান। যদিওবা অন্যান্য ইসলামপন্থীরা জনমনে বিভ্রান্তি না তৈরি করতো তাহলে ফলাফল ভিন্ন হইতো হাতপাখার পক্ষে।
দালাল তত্ব
যদি হাতপাখা এখানে জিততো তাহলে বলতো নিশ্চিত সরকারের সাথে আতাত।আবার মোটেও ভোট না পাইলে বলতো মুরীদ আছে ভোট নাই।এখন মোটামুটি সম্মানজনক ভোট পাইছে ঐদিকে সরকারের দালালীও প্রমান হইলো না।আমাদের ভাইরা একটু বেকায়দা পড়েছেন।আরেকটু গভীর করে বললে আমাদের ভাইরাই দালালী করেছেন তাদের সহযোগিতা ও ভোট দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর নির্বাচিত হয়েই বলেছেন, সবই আম্মাজান (শেখ হাসিনা) এর দোয়ায়। আমাদের জয়ের মাধ্যমে ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে, নৌকার বিজয় হয়েছে। তাহলে যারা ইসলামী আন্দোলনকে ঠেকিয়ে আওয়ামী প্রার্থীকে জিতিয়ে উল্লাসে মেতেছে তারাই তো প্রকৃত দালাল।
সামনে আরেকটা নির্বাচন এরা আবার একই প্যাটার্নে অপপ্রচার করবে।জিতলে হবে দালাল।হারলে বলবে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।এসব বক্তব্য মূলত ফ্যাসিবাদের পক্ষের বক্তব্য। এরা মূলত আবোলতাবোল যা বলে সবকিছুর পিছনে হিংসা বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছু না।সুতরাং পিছনে তাকানোর সময় নাই।জনগণ দিনদিন এই দুই বলয়ের বাহিরে ইসলামী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি করছে, যার প্রমান গাজীপুর সিটি।
ইনশাআল্লাহ এভাবে প্রত্যেক সিটিতে পূর্বের ভোটের দিগুণ সমর্থন ইসলামী আন্দোলন পাবে আমার বিশ্বাস। সুতরাং সবাইকে কাছে টানুন। অযথা তর্কবিতর্ক পরিহার করুন।নিজেদের ভুলগুলো থাকলে তা আগে ঠিক করুন।উম্মাহ কেন্দ্রিক চিন্তা থেকে সমালোচনাকারীদের ক্ষমা করুন।হেদায়েতের দোয়া করুন।অন্যান্য ইসলামপন্থীদের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনুন।
পথ এক মত ভিন্ন হলেও গন্তব্য স্থীর যেহেতু তাহলে প্রতিহিংসা কেন ভাই?আসুন আমরা দোয়া করি আল্লাহ আমাদের এক ও নেক করে দিক।আমাদের ঐকবদ্ধ হওয়া ছাড়া ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন প্রতিরোধ ও জনতার কাংখিত মুক্তি কখনোই সম্ভব না।
শুনতে খারাপ লাগলেও এই হুজুগে জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই যোগ্য শাসক।
হারলো নৌকা, জিতলো নৌকাবিজয় উৎসব জামাতের!নৌকা অবাক হয়ে বলেজামাত কি তবে আমাদের!?যদি বিএনপি ভোটকরে থাকে বর্জনতাহলে কিভাবেএতভোট অর্জন!?তাহলে কারা দিল এত ভোটজানতে চায় আমার মন!
0 Comments