Ticker

6/recent/Main-posts

Header Ads

আয়েশি জীবন ছেড়ে বেছে নিয়েছেন সংগ্রামী জীবন



উনি তো পারতেন ভক্তদের মাঝখানে গদিনশীন হয়ে বসে, হাদিয়া তোহফা নিয়ে, দোয়া আশীর্বাদ দিয়ে এক আয়েশি জীবন যাপন করতে। পারতেন বাহারী পোষাক আশাকে, দম্ভ ভরা জীবন উপভোগ করতে। পারিবারিক ভাবে টাকা পয়সা, জমি জমা, জৌলুশ খ্যাতি কিছুরই অভাব ছিলো না।

তিনি সে জীবন বেছে নেননি। আলিঙ্গন করেছেন এক সংগ্রামী জীবন। এক মুহুর্ত ফুরসত নেই। অবিরাম ছুটে চলেছেন এক জনপদ থেকে অন্য জনপদে। বিশ্রামের বালাই নেই। জীবনের উপভোগ্য সময় গুলো রাস্তা ঘাটেই শেষ করে দিচ্ছেন।

কারণ তিনি নিজের জন্য ভাবেন না। পুরো উম্মাহ নিয়ে ভাবেন। তাঁর এই ভাবনা তাকে স্থীর থাকতে দেননা।

এই মানুষটার কাছে আসলেই বুঝতে পারতেন বন্ধু তিনি কতোটা এই দেশ, জাতি, ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে ভাবেন। এই ভাবনা তাঁকে ঘুমুতে দেয় না বলেই তিনি রাজপথকে নিজের ঠিকানা বানিয়েছেন।

কন্ঠ উঁচিয়ে এজাতীর মুক্তি, অসহায় মানুষের অধিকার, উম্মাহর অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি যখন দেখেন এদেশে ইসলাম ও মুসলমান অনিরাপদ, যখন দেখেন এদেশের মানুষ অধিকার বঞ্চিত, যখন দেখেন এদেশের সম্পদ চুরি করছে একদল; আরেক দল না খেয়ে হাড্ডিসার কংকাল হয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বজ্র কণ্ঠে হুংকার দিয়ে উঠেন।

তিনি আপোষহীন সংগ্রামী এক বিপ্লবী পুরুষ। যাকে নিয়ে জাতী অধিকার আদায়ের স্বপ্ন দেখে। সামনে চলার আগ্রহ পায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপ্লবের পথ প্রসারিত করার নির্ভরতা পায়।

এমন একজন মানুষকে নিয়ে মন্দ মন্তব্য করতে একটু চিন্তা করেন না ভাই? মানুষটাকে আ/ঘা/তে আ/ঘা/তে জর্জরিত করে দিয়েছেন। ভেতর বাহির থেকে অনবরত তীর ছোড়া হচ্ছে এই মানুষটাকে লক্ষ্য করে।

আফসোস এই জাতীর, যারা জাতির এক শ্রেষ্ঠ সন্তানকে থামিয়ে দেয়ার জন্য চরম শত্রুর সাথে হাত মেলাতেও কার্পণ্য করছে না।
আল্লাহর ওয়াস্তে থামুন। একটু ভাবুন। তিনি পিঠ সোজা করে দাঁড়িয়ে গেলে দাঁড়িয়ে যাবে এদেশের মজলুম। দাঁড়িয়ে যাবে বিপ্লব প্রত্যাশী এক বিশাল কাফেলা। যেখানে আপনিও থাকবেন। সবাই মিলেই সেদিন একটা নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভীত রচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
তাই আসুন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে উনার হাতকে শক্তিশালী করি। তাহলেই শক্তিশালী হবে আমাদের আগামী প্রজন্মের সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন সিঁড়ি।

আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।

© ইয়াসীন

Post a Comment

0 Comments