Ticker

6/recent/Main-posts

Header Ads

এরা ইসলামী অঙ্গনে ফিতনা সৃষ্টি করে


এরা ইসলামী অঙ্গনে ফিতনা সৃষ্টি করে

নব্য খারিজিয়ত যাদের হাত ধরে বিস্তার লাভ করলো, তাদের কয়েকজনকে সবাই চেনে, আর কয়েকজন পর্দার অন্তরাল থেকে কলকাঠি নাড়ে।

নিজের জান প্রাণের মায়া ছেড়ে আজ তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট শব্দে সতর্ক করছি। প্রথমেই বলে রাখি, এই লোকগুলো কওমীয়তের খুটি নয়, কিন্তু মাসলাকে দেওবন্দির খুটিতে যত নব্য সমস্যা সবটার জনক এই কয়েকজন।

১। মুফতি জুবাইর। (মার্কাযুদ দাওয়ায় চাকরি করতেন। যেকোন কারণে বের হয়েগেছেন, বা বহিস্কার করা হয়েছে)
এই লোক নব্য খারিজিয়তের দেশীয় ইমাম। তিনি কয়েকটি বই লিখেছে। (নাম নিচ্ছিনা।) হাটহাজারী মাদ্রাসায় তা গোপনে বিতরণ করা হচ্ছিলো। হাটহাজারীতে ছাত্রদের একটা কাফেলা তৈরি হয়, বদরী কাফেলা নামে চেনা হতো। তাদের কাজ, মুফতি জুবাইরের বই পত্র বিতরণ করা। এবং কোন উস্তাদ কী ভুল করে তা সামনে এনে সম্মিলিতভাবে তাকে ধুয়ে দেয়া। অনলাইন অফ লাইনে সবাই একযোগে একজনকে টার্গেট করে লিখতে থাকা। এসব তাদের কর্মযজ্ঞের অংশ।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নজরে সেই বইগুলো ধরা পড়ে। আল্লামা আহমদ শফি রহঃকে তা পড়ে শুনানো হয়। পরে শায়খুল ইসলাম রহঃ উক্ত বইয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে মাদ্রাসা মসজিদে সোমবারে বয়ান দিতে বলে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ লাগাতার ৩ সপ্তাহ উক্ত বইয়ের লাইন ধরে ধরে খারেজিয়তের সাদৃশ্য প্রমাণ করে লেখকের নাম ধরে খারেজি বলে আখ্যা দেয়, এই কাজ আমি করিনি, হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ করেছে।
এর প্রেক্ষিতে আলি হাসান ও*সা*মা মাদ্রাসা বিরো*ধী হুং*কার ছাড়ে যে, (যেসব মাদ্রাসায় জি*হা*দী বই পড়তে দেয়া হয়না, সেসব মাদ্রাসাকে ছুড়ে ফেলে চলে আসার তাকিদ দেন) যেন রাজবাড়ী থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছিলো। অথচ দেওবন্দি প্রতিটা মাদ্রাসার প্রতিটা ক্লাসের কিতাবে জিহা*দের অধ্যায় এখনো অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু শায়খের কাছে জিহা*দের মানে হলো উস্তাদের সাথে বেয়া*দবি করা, আর জিহা*দের বই মানে মুফতি জুবাইরের লেখা।

২। নব্য খারেজিয়ত ওরফে মুতাশাদ্দিদ ধর্মের তরুণ ইমামের নাম আলি হাসান ওসামা। অনেকে তার দোষ দেখে না। আজ চট্টগ্রামের এক মাওলানা ও*সা*মার মৌলিক সমস্যাগুলো জানতে চেয়েছে, আমি ৬টি উসূলী সমস্যা দেখালাম, ওনার নাকি এগুলো ঘরোয়া সমস্যা মনে হয়েছে। এ মাওলানার কাছে জঙ্গে জামাল - আর সিফ্ফিনের ইস্যুগুলোও ঘরোয়া মনে হবে। কারণ ঘরোয়া ইস্যুর কারণেই উক্ত ২ যুদ্ধে ৯০ হাজার মানুষ আহত নি*হ*ত হয়েছে। অথচ তা গৃহযুদ্ধই ছিলো।

তিনি ফেবুতে এসে তুহমত বিতরণ করে বেড়াচ্ছে আমি নাকি তাকে খা*রে*জী বলেছি, এভাবে সরাসরি মিথ্যা কিভাবে বলতে পারে আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন। কেউ যদি তার কাছে প্রমাণ চেয়ে বসে, সেতো নিশ্চিত লজ্জিত হয়ে পড়বে। অথচ সবগুলো মেসেজ ইনবক্সে এখনো আছে।

ওসামার উসূলী সমস্যা সমূহ-
১। হক্কানী তরিকত পন্থি দলগুলোকে বাতিল মনে করা।
২। গণতন্ত্রের ইস্যু সামনে রেখে গণহারে সবাইকে কুফুরের তকমা লাগানো। তার দৃষ্টিতে গণতন্ত্র মানেই কু*ফর। তাহলে আকাবীরে দেওবন্দিদের ইমানের কী হালত? দেওবন্দি ধারার ৬০-৭০% লোক কোন না কোন গণতন্ত্রের রাজনীতিতে যুক্ত, নাহয় পছন্দ করে, তাহলে এদের কী হুকুম? গণহারে এতবড় বিশাল একটা জামাতকে কু*ফরের তকমা লাগানো।
৩। উপরের দুটি বিষয়কে সামনে রেখে আপোষে মারাত্মক লেভেলের কট্টরবাদ বিতরণ করা। তথা উম্মাহের বন্ধন ঠিক রাখার প্রধানতম যে খুটি রয়েছে, সেটিকে ও*সা*মা বিকৃত করেছে। আয়াত হলো- (আপোষে নরম হও, কুফ্ফারের ব্যাপারে কঠোর হও) এই লোক তা বিকৃত করে নতুন উসূল বানিয়েছে, আপোষে কঠোর, কুফ্ফারের ব্যাপারে নমনীয়। জেলে যাবার আগে আলীগের বি*রুদ্ধে আর প্রকৃত কুফ্ফারের বি*রুদ্ধে কঠো*রতা দেখাতো, তখন পর্যন্ত ঠিকই ছিলো, জেল থেকে কী চুক্তি করে বের হয়েছে আল্লাহ তাআলা জানেন, এখন তার যত কঠোরতা সবটাই আপোষে। গত একটা বছর, শুধু তাগুত তাকফীর এসবই করেছে।

অনেকেই তার এসব ত্রুটিকে ছোটকরে দেখে, আল্লাহর কসম, এসব কারণেই অতিতে জঙ্গে জামাল জঙ্গে সিফ্ফিন হয়েছে। তথা আপোষে তাকফীর করা, তা*গু*ত বলা, এমনকি হযরত আলিকে শহীদই করা হয়েছে এই দোষে যে, আলী রাঃ শরিয়তের আইন প্রয়োগ করছেনা। এ দোষে খারেজীরা প্রথমত তাকফীর করে, পরে কতল করে।

একই বিষয়গুলো ওসামা এবং তার গ্যাংগের ভেতরে বিদ্যমান। উপরের লক্ষণগুলো খাওয়ারেজের লক্ষণ সমূহের সাথে একটু পাশাপাশি রাখুন, হুবহু মিলে যাবে।
(ইমাম মাতুরিদি বা আশআরীর মৌলিক ১২টি কিতাবের যেকোন একটি টেবিলে নিন, খাওয়ারেজের আসবাবের সাথে মিলিয়ে দেখুন।)

৩। এনেয়েতুল্লাহ আব্বাসী।
যদিও এই লোকটি আলোচনার বাহিরে রাখা উচিত। কারণ সে বিদাতী। কিন্তু বিদাতী হলেও সে খা*রে*জী। কথায় কথায় তাকফীর করে। এই লোকের কঠো*রতার সাথে ও*সা*মার থিউরির হুবহু মিল। কওমীয়তের প্রথমসারীর সব আলিমদের কা*ফে*র বলার পরও কওমীর পোলাপান এই লোককে পুঁজা কিভাবে করে এটাই আমি হিসেবে মিলাতে পারিনা।
যদিও উপরের দুজনের সাথে আকিদাগত কিছু তফাৎ আছে তার, কিন্তু চিন্তাগত পুরো মিল। তথা পান থেকে চুন খসলেই কা*ফে*র ফতোয়া। নব্য খারেজিয়তের বেদাতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম জনাব আব্বাসী।

৪। নোমান কাসেমী। যেদিকে বাতাস সেদিকে ছাতা। ঢাকায় বইসা হাটহাজারী মুহতামিম বিদায় করা এবং ঠিক করার কারিগর। কর্কশভাষী। নব্য খারিজিয়তের ইমাম না হলেও বেয়া*দব প্রজন্ম তৈরিতে তার ভূমিকাকে ছোট করে দেখা হয়না। (চলো যাই জি*হাদে, মুরব্বিদের বি*রুদ্ধে) এই সংগ্রামের একজন সেনাপতি নোমান কাসেমী।

৫। নুরুজ্জামান নোমানী +সাংবাদিক ইলিয়াস। যদিও আকিদাতান মাসলাকে দেওবন্দির না, কিন্তু তাদের সব চিন্তা ফিকির দেওবন্দিয়ত নিয়ে। বেয়া*দব কমিটির স্থায়ী সদস্যের তালিকা করা হলে এই দুইজনকে মাইনাস করা জুলুম হবে। অত্যন্তা জামে-মানে বেয়া*দব।

সর্ব সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি-
আমার কলম কোন মুরব্বিদের শান বিরোধী কাজে কোনদিন ব্যবহার হয়নি। আগামীতে ব্যবহার হবে না।
যেদিন ব্যবহার হবে, সেদিন আমার হেদায়াতের দুআ করবেন।

উপরে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ, কওমীয়তের আহামরি কেউ নয়। তারা কওমীয়তের কোন মুরব্বি নয়। তাদের উপর আমাদের মাসলাক নির্ভর করেনা।
সেহেতু ও*সা*মা গ্যাং সম্পর্কে সতর্ক করেছি এর মানে আমার কথা কোন মুরব্বিদের উপরে তুলে দেয়ার এসব কাজ আর তুহমত থেকে বিরত থাকুন।

আমি নব্য খারেজিয়ত বি*রোধী। কোন মুরব্বি বি*রোধী নই।

আমি যাদেরকে বেয়া*দব বলি, তাদেরকে আমাদের অনেক মুরব্বি খা*রেজী বলে। এমনকি এদের ব্যাপারে সতর্ক করে ফাতওয়া ছাপিয়েছে। (সেসব নিয়ে পরে হাজির হচ্ছি)

সেহেতু আমার কথা না মানুন, অন্তত মুরব্বিদের কথা মেনে বাকিদের অনুস্বরণ করুন। সভ্যদের অনুস্বরণ করুন। যারা কুফ্ফারের প্রতি ক*ঠোর, আপোষে নরম, এমন ব্যক্তিদের অনুস্বরণ করুন।
যারা কথায় কথায় কা*ফের তা*গুত বলে বেড়ায়, বিশ্বাস করুন সে নিজে প্রকৃত মুসলিম নয়, আপনাকে কিভাবে মুসলিম বানাবে।

Post a Comment

0 Comments