দালাল ট্যাগ ও প্রকৃতির শিক্ষা

কাউকে কাফের বললে যদি সে কাফের না হয় তাহলে যে তাকে কাফের বলেছে তার দিকেই তাকফির ফিরে যায়।

কাউকে দালাল বললে সে যদি দালাল না হয় তাহলে যে দালাল বলেছে তার দিকেই দালালির তীর ফিরে যায়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রাহিমাহুল্লাহ একজন মজলুম আলেম ছিলেন। আল্লাহ প্রদত্ব দূরদর্শীতা ও প্রজ্ঞার জন্য তাকে তাঁর স্ব-ধারার লোকদের থেকেই বেশি জুলুমের শিকার হতে হয়েছে।

ইসলামপন্থার একক রাজনৈতিক ভিত্তি দাড় করানোর জন্য যখন তিনি উভয় জোটের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং ভিত্তি মজবুত করার ফুরসত তালাশে ক্ষমতার লড়াই থেকে নিজেকে ও দলকে সরিয়ে আনলেন; যার ফলে ক্ষমতাসীনদের রোষানল থেকে কিছুটা ছাড় পেলেন তখন তাকে ও তার দলকে অব্যহতভাবে দালাল তকমা দেয়া হয়েছে।

কোন প্রমাণ ছাড়াই কেবল তার দল রোষানলের পুরোমাত্রা পুড়ছে না হেতু তাকে ও তার দলকে বছরের পর বছর দালাল বলে মিথ্যা তোহমত দেয়া হয়েছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, আমাকে যারা মিথ্যা তোহমত দিচ্ছে তাদের প্রত্যেকেই এই অভিযোগে অভিযুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।

আজকের বাংলাদেশে শায়েখ রাহিমাহুল্লাহর সেই কথার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।

এতো জুলুম ও ত্যাগের পরেও মাত্র একটা সমাবেশ করার কারণে যে ধরণের কথা আসছে তা এক ধরণের প্রাকৃতিক শিক্ষা।

সেজন্য সবার প্রতি আবেদন থাকবে যে, রাজনীতিতে প্রত্যেকে যার যার দলের পক্ষে যুক্তি দাড় করাবেন সেটা ঠিকাছে। তাই বলে কাউকে মিথ্যা তোহমত দেয়ার প্রবনতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য করার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকা চাই।

শেখ ফজলুল করীম মারুফ